কী লিখব বুঝতে পারছিনা! অনেকক্ষণ ধরে বুঝতে পারিনি বলে কিছু লিখতেও পারিনি।
কিন্তু কিছু না লিখতে গাজী ভাইয়ের মত স্বেচ্ছাসেবকরা হতোদ্যম পড়বে - সেটাই
স্বাভাবিক! সেজন্যই এই চিঠি।

গাজী ভাই,

উবুন্টু মিন্টের জন্য আমি দেশের বাইরে থেকে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু করি।
আপনাদেরকে দেখে মাঝে মাঝে হিংসা হয়, যখন দেখি যে আপনারা স্বশরীরে উবুন্টু-মিন্ট
ছড়িয়ে দেবার জন্য কাজ করছেন। সোফায় বসে যিনি ভাস্কর্য দেখেন তার চেয়ে যিনি
ভাস্কর্য বানান তার কদরই বেশি। সোফায় বসে সমালোচনা করা যায় ঠিকই, কিন্তু
সমস্যাটা কি জানেন? জনগন ঐ সোফায় বসা লোকগুলোকে খুব একটা পাত্তা দেয়না। সোফায়
বসে কী বললো না বললো তাতে জনগনের কিছুই আসে যায়না, তারা কেবল কাজটাই দেখে, কাজ
দেখেই কদর করে।

গত কয়েকদিন ধরে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি দেখে খোলা চোখে একটা ব্যাপার ভালোমত বুঝলাম।
সেটা হল কিছু লোকের স্বরূপ। আগে তাদেরকে মন থেকে শ্রদ্ধা করতাম, কিন্তু এই
কদিনেই তাদের প্রতি মন বিতৃষ্ণায় ভরে গিয়েছে। কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির পর এখন আসলো
দলাদলির ব্যাপার! আজব লাগলো এটা ভেবে যে স্বেচ্ছাসেবী একটা প্রতিষ্ঠানে দলাদলি
করার মানসিকতা যাদের মধ্যে আসে তারা মানুষ হিসেবে কতটুকু মর্যাদার যোগ্য?
তাছাড়া এখানে দলাদলি করেই বা লাভটা কি? আমার হিসেবে উবুন্টু-মিন্টকে ছড়িয়ে
দেবার জন্য কাজ করাটা এক অর্থে দেশের জন্য কাজ করা। পাইরেসি নিয়ে বাংলাদেশের
যেই দুর্নাম, হাজার বাধা সত্ত্বেও সেটা ঘোচানোর জন্য যারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে
কাজ করে যাচ্ছে সোজা বাংলায় তাদের আরেক নাম "দেশপ্রেমিক"। দেশপ্রেম খুব বিশাল
জিনিস। সবার মধ্যে সেটা দেখা যায়না। সবাই সেটা অনুধাবনও করেনা। মুখে "আই লাভ
বাংলাদেশ" বলে কিংবা টিশার্টে লাল-সবুজ রং লাগিয়ে যে দেশপ্রেম দেখানো হয় তার
চেয়ে অনেক কার্যকরী দেশপ্রেম দেখিয়ে যাচ্ছে দেশে পাইরেসির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
করা স্বেচ্ছাসেবী এই তরুণগুলো। দেশপ্রমিকদের কোনো শর্ত থাকেনা, তারা পদমর্যাদা
নিয়ে ভাবেনা, তাদের কোন দল থাকেনা- তারা নীরবে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যায়। তাই
যারা নিজের মানসম্মান বা প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়াবার জন্য দলাদলি করেন, অন্যকে
হুমকি ধামকি দেন- তাদের অবস্থান কখনোই এসব অকুতোভয় দেশপ্রেমিক বন্টু-মিন্টুদের
কাতারে হতে পারেনা, এমনকি এসব বন্টু-মিন্টুদের মাঝে থেকেও না। তারা আপনা-আপনিই
আস্তাকুঁড়েতে নিক্ষিপ্ত হবে, কাউকেই কিছু করতে হবেনা।

তাই গাজী ভাই, আপনি এসব আস্তাকুঁড়ের লোকজনদের কথায় মন খারাপ করবেননা। আপনার
কাজের যোগ্যতাই আপনাকে সবার সামনে তুলে ধরবে। আমি আড্ডায় ছিলামনা, তাই সেখানে
আপনি কতটুকু সফলভাবে আপনার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন সেটা আমি না দেখলেও
অন্য সবাই দেখেছেন। একগুলো চোককে ফাঁকি দিয়ে কি আর আপনি লুকিয়ে লুকিয়ে কাজ করে
যেতে পারবেন? কখনোই না। আড্ডার লোকজনই আপনার কাজের মূল্যয়ন করবে। তাই একজন
দু'জন লোক আপনাকে কি বলল না বলল তাতে কিছু আসে যায়না। তবে ব্যাপারটা সবার সামনে
তুলে ধরে খুব ভালো করেছেন। নতুন কোনো সদস্য এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে
অবশ্যই মানে-মানে কেটে পড়তো (এরকম হুমকিতে আদৌ কেউ কেটে পড়েছে কিনা সেটাও তো
নিশ্চিত না)।





-- 
.:: অভ্রনীল ::: Ovroniil ::.

❆ আমার সাইট ➠ http://ovroniil.wordpress.com/
❆ সহজ উবুন্টু শিক্ষা ➠ http://ovroniil.wordpress.com/ubuntux/sus/
-- 
Ubuntu Bangladesh | http://ubuntu-bd.org
ubuntu-bd@lists.ubuntu.com
https://lists.ubuntu.com/mailman/listinfo/ubuntu-bd

Reply via email to